ইসলামী আইন ও শাসনব্যবস্থা: সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা
• এই সেক্যুলার রাষ্ট্রব্যবস্থায় আইনশৃংখলা বাহিনীর হেফাজতে গিনিপিগদের মৃত্যু হয়, গুলি করে মারে তাদের। আবার গিনিপিগদের টাকা পয়সাতেই এ বাহিনীর ঘর-সংসারে চুলা জ্বলে।
এইসব ঘটনা ঘটার পর সুশীল সমাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে তুমুল সমালোচনা করে। কিন্তু এই বাহিনীকে দানবে পরিণত করে যে আইন ব্যবস্থা, রাষ্ট্রযন্ত্র ও শাসনব্যবস্থা, তার সমালোচনা করতে তারা সাহস পায় না। তখন তাদের মস্তিষ্ক আর ঠোঁট 'ঘুমেশে পড়ে'।
• এই সকল সমস্যার সমাধান একমাত্র– 'ইসলামি শারিয়াহ'।
• ইসলামি শরিয়াহ'র মূল ভিত্তি হলো ইনসাফ। কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে পরিচালিত বিচারব্যবস্থায় পক্ষপাতমূলক রায়, রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা ক্ষমতাশালীদের জন্য আলাদা কলমে রায় লেখার সুযোগ থাকে না।
• ইসলামি শাসনব্যবস্থা শাসকদেরও সর্বোচ্চ নৈতিক মানদণ্ডে পরিচালিত হতে বাধ্য করে। এখানে শাসক হলো জনগণের খাদেম এবং তারা আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতার জন্য বাধ্য। [উমর রাঃ- এর জুব্বার কাপড় নিয়ে কাহিনী সবারই জানা।]
• শারিয়াহ আইনের শাস্তি কঠোর ও প্রকাশ্য। যা আমাদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে এবং পরবর্তীতে কোনো দর্শক (যে সরাসরি শাস্তি প্রয়োগ দেখবে) এই পাপ করতে ১০০ বার ভাববে। এই শাসনব্যবস্থায় জেলে আটকে রাখা, রিমান্ডে নিয়ে মারধর করে স্বীকারোক্তি আদায়ের মতো অপ্রাসঙ্গিক পদ্ধতি নেই।
আবার এই আইনে সাক্ষ প্রথাও খুবই কঠোর। মিথ্যা অপবাদ প্রমাণিত হলে এর জন্যও আছে শাস্তি। যার ফলে একটা 'চ্যাক এন্ড ব্যালেন্স' তৈরি হয়, যা অন্য কোনো রাষ্ট্রব্যবস্থায় অনুপস্থিত।
শরিয়াহ বাস্তবায়িত হলে –
১.সকল অন্যায়-অত্যাচারের মূলোৎপাটন হবে,
২.শাসকের যথাযথ জবাবদিহিতা থাকবে,
৩.জনগণের অধিকার নিশ্চিত হবে,
৪.রাষ্ট্রীয় শক্তির অপব্যবহার বন্ধ হবে।
সবচেয়ে মূল কথা– এ আইন ও শাসনব্যবস্থা তাঁর প্রদত্ত যে সকল সৃষ্টির স্রষ্টা।
২ শাবান, ১৪৪৬ হিজরী।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন