কবিতাঃ পাহাড়ি প্রেয়সী


 
সখের বসে প্রেমে স্নান

অভ্যেস হলে তবে—

প্রেম তোমার জন্যে ম্লান 

থাকুক অনুভবে। 


ঘুম কেড়ে নিল মোর, নীল রঙা অশ্রু,

আমি কি তবে বুঝে উঠিনি? 

সবুজ কুন্তলে হয়েছি উন্মাদ, ব্যাকুল — 

সেখানে সুগন্ধ, ঠিক বুঝিনি!


তোমার কোলে মাথা রেখে, মানব চোখে

কাশ্মীর দেখব যে?

বুঝিনি আমি তুমিই সে অরণ্য, মায়াবতী—

বলো, কে-ই বা বুঝে?


তোমার ভেতর তো হারিয়ে গেলাম

আমায় কি একটু খানি খুজেছ? 

আমি কিন্তু তোমার ঝর্ণা দেখেছি—

আমায় কি দেখেছ, বলো দেখেছ?


ভাবছি, তোমার ঝর্ণা নিয়ে,

একটা উপন্যাস লেখব—

তোমার ভেতর তা হন্যে হয়ে খুঁজব। 

অনুমতি দেবে তো বলো?


কপোল জুড়ে ঝিরিপথ—

বলছি, এতো অশ্রুর কারণ কে?

যদি আমি হই, কাদাব আরও,

এ আমার আমৃত্যু শপথ।


আচ্ছা,

কাঁদলে মানুষকে থামায় কেন?

জানো? দেখতে কি মায়াবী লাগে—

তোমার ক্ষেত্রে তো আমিও কাঁদি,

এ থাকুক সর্বদা, আমার ভাগে!


তোমার পাহাড়ের জুমঘড়ে

আমি আজীবন থাকতে চাই,

আমি, তুমি, আর পাহাড়,

ভবঘুরে একখান জীবন যদি পাই! 


হে পাহাড়ি প্রেয়সী–

তুমি কার সৃষ্টি বলো!

সে কয়– তুমি কি শোনা না?

আমি করছি তাঁর জিকির? 


তাইতো আমি বলি!

এ সুনিপুণ পাহাড়, সবুজ 

আর নীলের মিশ্রণ–

এ নির্মাণ কেবল মহান শিল্পীর।


আমি যে প্রেয়সীর প্রেমেই পড়লাম!

সে শিল্পীর প্রেমে কি পড়ব না? 

আমি আমার অবনত মস্তকে তাঁর–

সে মহান শিল্পীর শুকরিয়া আদায় করব না?


আমি প্রফুল্ল চিত্তে বলি,

আমার রব্ব, আমি তোমার প্রেমেই পড়ি।

আমি তো কেবল চাই তোমার সন্তুষ্টি

এই নিয়তেই তো আমি আমার পথ চলি।




কবিতাটি একদিনের লেখা নয়, তবে এর শুরু বলতে পারি। এই ২৪-এ বিজয়ের আগস্টে আলীকদম, বান্দরবান ভ্রমণে এই কবিতার অনুভূতির প্রেক্ষাপট শুরু। পালংখিয়াং, থানকোয়াইন, জামরুম, লাদমেরাগ ঝর্ণার যে পবিত্র দৃশ্যের অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, তা হয়তো আমার প্রতিটি লেখায় প্রকাশ পাবে।

এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের জন্য আমি আমার পাঠকদের কাছে মোটেও দুঃখিত নই। সময় হলে এই ভুল আবার করব, আরেকদিন নতুন এক লেখার মাধ্যমে, ইন শা আল্লাহ।


মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Popular Posts

"তাওহীদ– আমার বেঁচে থাকার কারণ"

"রাতের আকাশ ও রবের মহিমা: এক গভীর উপলব্ধি"

"Rat Race" —বিপর্যস্ত আত্মার খোঁজে