পোস্টগুলি

Featured Post

"তাওহীদ– আমার বেঁচে থাকার কারণ"

ছবি
তাওহীদ অর্থ একত্ববাদ। আরও স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে– "সকল নকল খোদা (তথাকথিত সুপার পাওয়ার) কে পায়ের নিচে রেখে, অবনত মস্তকে আল্লাহর এক ও অদ্বিতীয় সত্তার ঘোষণা দেওয়াই তাওহীদ।" • এই তাওহীদই মুসলিমদের বেচে থাকার রসদ। তাওহীদ ছাড়া কোনো মুসলিমের পরিবার, ব্যবসা, সমাজ ও রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না।  আমি আমার পরিবারের জন্য কামাই করব কেন? – কারণ এটা তাওহীদের শিক্ষা। আল্লাহ আমায় তার আদেশ দিয়েছেন তাই।  আমি ব্যবসায় ইনসাফ বজায় রাখব কেন? ভেজাল থেকে মুক্ত থাকার আকাঙ্ক্ষা রাখব কেন? – কারণ এটা তাওহীদের শিক্ষা। আল্লাহ আমায় তার আদেশ দিয়েছেন তাই।  আমি আমার রাষ্ট্রের ভূখণ্ড রক্ষা করব কেন? – কারণ এটা তাওহীদের শিক্ষা। আল্লাহ আমায় তার আদেশ দিয়েছেন তাই।  • তাওহীদ ছাড়া এই ভূখণ্ডের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাওহীদ না থাকলে ৪৭ এ ভারতের পেটের ভিতরে থেকেও পূর্ব পাকিস্তান হতো না। আর তা না হলে বাংলাদেশও হতো না।  তাওহীদ না থাকলে ২৪ এ এসে ভারতের অঘোষিত  অঙ্গরাজ্য বাংলাদেশকে আবার স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে আবিষ্কার করা যেত না।  সেনাবাহিনী প্রতিটা অপারেশনের আগে সম্মিলিতভাবে একটা দু'আ করে নেন। ...

"মাথিনের স্মৃতিতে শাপলা" (৫-৫-১৩)

ছবি
মুজিব না শাপলা? বারিন্দায় খেলছিলো। তখন হাতে একটা কয়েন পেলে তা ঢিল দিয়ে সঠিকভাবে ল্যান্ড করানো ছিল এক্সট্রা অর্ডিনারি কাজ, যাতে সে ছিলো পারদর্শী। সাত বছর বয়সী বালক মাথিম। ১০-১২টা পর্যন্ত স্কুল। স্কুল থেকে আসার সময় ৫টাকার ঝালমুড়ি খেয়ে বাকি ৫টাকার একটা কয়েন নিয়ে খেলতে খেলতে বাড়ি ফিরছিলো সে। তখনও ছোট্ট শিশুটি জানতো না কিছুই। বিকেলে আজ আর মাঠে যাওয়া হলো না। তাদের বাসার নিচ তলার মাহদী ভাইকে নাকি মাদ্রাসায় পাওয়া যাচ্ছে না। আসরের পর বাসায় এসে মাথিন আম্মুর উড়না ধরে আন্টিদের কথা শুনছে সে। মাহদী ভাইয়ের মা দিকবিদিকশূন্য হয়ে পড়েছে, তার সোনার টুকরা গেল কই? পরে জানতে পারলো মাদ্রাসা থেকে সবাই ঢাকা গেছে, ইসলাম ও আল্লাহর নবীর সম্মান রক্ষার্থে বেরিয়ে পড়েছে কুরআনের পাখিরা।  সেই বিকাল থেকে মাথিন টিভির সামনে বসে। খালি দেখতে পাচ্ছে 'বড় মসজিদ' এর হুজুরদের মতো হাজার হাজার হুজুর। সে তার মাহদী ভাইকে খুঁজছে, পেলে আন্টিকে জানাবে— "আন্টি, ওইজে মাহদী হুজুরকে টিভিতে দেখা যায়।" সে মনে মনে ঠিকও করে রেখেছে এবার থেকে মাহদী ভাইকে মাহদী হুজুর ডাকবে। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়তে গেলো মাথিন, বড় ...

12-04-2025- “March for Gaza”, Palestine Solidarity Movement, Bangladesh.

ছবি
 

"গাজাবাসী, কবুল করবে কি আমায়?"

ছবি
  ফিলিস্তিনের জন্য কষ্ট হলে — আমায় গালি দিও। ফিলিস্তিনের রক্ত দেখলে — আমায় কাপুরুষ বলো। আকাশ তো আমাদের একটাই, বাধা শুধু কাটাতারের। যারা বিভক্ত করেছে আমাদের — তাদের কি নেই দায় এ সবের? আমি কাপুরুষ, আমি কি কাপুরুষ? উম্মাহ কি চিরকাল এভাবেই চুপ থাকবে? কোনো সালাহউদ্দিন কি জাগবে না আর? কোনো মোল্লা উমর কি সাড়া দেবে না ফিলিস্তিনের আহ্বানে? কোনো উসামা কি আবার সিংহের মতো হুংকার দেবে না বিশ্বে? যে হুংকারে কাঁপবে কুফরের মসনদ? আমি সে সিংহের হুংকার হতে চাই — হে গাজাবাসী, কবুল করবে কি আমায়? আজ আকাশ কাঁদে, ধরণী হয় কম্পিত। উঠে আসুক এক উমর, এক আবু বকর — আসুক আলোর আহ্বান। আজ হৃদয় উৎসর্গ করেছি তোমাদের জন্য, হে গাজাবাসীরা, জেনে রেখো — বঙ্গদেশে এক কাপুরুষ মুনাফিক ছিলো, যে ঘুমিয়ে কাটিয়েছে বছরখানেক। গাজাবাসী, আমায় কাপুরুষ থেকে এক বীর্যবান সুপুরুষে পরিণত হতে সময় দেবে? এ সময় শেষ হবে যেদিন  প্রাণের ফিলিস্তিন ধুলোয় মিশে যাবে! যেদিন একটা ফিলিস্তিন থাকবে না– সেদিন হয়ত চৈতন্য ফিরবে মোদের, আকাশের রব্ব সেদিন পাঠাবে লা'নত ধ্বংস করে দিবে কি এ উম্মাত? আমার কথা ভুল প্রমাণ করো তুমি রব্ব তুম হামারে লিয়ে ভেজো মুজাহিদ...

"Rat Race" —বিপর্যস্ত আত্মার খোঁজে

ছবি
বর্তমান সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা একটা শিক্ষার্থীকে পরিণত করে একজন চাকর, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অসামাজিক মানুষে। এই শিক্ষাব্যবস্থা একজন শিক্ষার্থীকে ঠেলে দেয় এক অসুস্থ প্রতিযোগিতার দিকে। আর এই প্রতিযোগিতাই ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয় তার কৈশোর ও যৌবনের উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে। তার চিন্তার জগতকে সংকীর্ণ করতে বাধ্য করে তার বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সমাজ। চিন্তার জগতকে আপনি প্রশস্ত করবেন– তা তো 'দূর কি বাত'। আপনি যদি বলেন, “আমি আমার চিন্তার জগৎ প্রসারিত করতে চাই”—তবে সেটি হবে এক রকম অপরাধ। আপনার পড়াশোনা হবে কেবল পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য। আপনাকে শেখানো হবে কীভাবে ‘মানসিক প্রতিবন্ধী’ মানুষদের সাহায্য করা যায়—কিন্তু আপনি নিজেই হয়ে উঠবেন সেই ‘মানসিক প্রতিবন্ধী’।  এই শিক্ষাব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেতে বিসর্জন দিতে হয় জীবনের দীর্ঘ ২৮-৩০টি বছর। আর তারপর সফলতার নামে আপনার হাতে তুলে দেওয়া হয় আরেক নারকীয় সংগ্রাম—চাকরির যুদ্ধ। এই পুঁজিবাদী বিশ্বব্যবস্থা আপনাকে দিনে দিনে বিচ্ছিন্ন করে দেয় আপনার প্রকৃত সত্তা থেকে। ভূলিয়ে দিবে সেই অসীম সত্তাকে, নিয়ে যাবে তাঁর থেকে যোজন যোজন দূরে। আর এই পুরো প্র...

"উর্দুর সাথে আমার সম্পর্ক"

ছবি
  میرے اس جسم میں اِک روح ہے جو گناہوں کی آگ میں جل کر راکھ ہو گئی دل تھا کبھی آئینہ، چمکتا تھا نور میں اب تو بس دھول میں لپٹ کر خاک ہو گئی Mere is jism mein ik rooh hai Jo gunahoon ki aag mein jal kar raakh ho gayi Dil tha kabhi aaina, chamakta tha noor mein Ab to bas dhool mein lipat kar khaak ho gayi –21 Ramadan, 1446। • উর্দু এই ভূখণ্ডেরই একটা ভাষা, আমার পূর্বপুরুষদের ভাষা, আমার প্রিয় ভাষাগুলোর মাঝে অন্যতম। মাতৃভাষার সাথে তুলনা টেনে নিজের চিন্তার অপরিপক্কতার প্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বাংলার সাথে উর্দুর দ্বন্দ্ব কখনোই ছিল না, ৫২ তেও না। ৫২ ছিল বাংলা ভাষার অধিকার আদায়ের আন্দোলন। কিন্তু কিছু শ্রেণি আছে, যারা উর্দুকে বিরোধী ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। উর্দু নিয়ে তাদের আপত্তি আছে যাদের– বাংলা ভাষার কেবলা পশ্চিমবঙ্গ, সংস্কৃত যাদের কাছে বাংলার বাপ।  আর তারাই বাংলায় প্রচলিত বহু উর্দু শব্দকে ‘বিদেশি শব্দ’ বলে অপাংতেয় করেছে। অথচ ভাষা কখনোই সংকীর্ণ নয়; এটি বহমান নদীর মতো, যা বহু উৎস থেকে উপাদান সংগ্রহ করে নিজেকে সমৃদ্ধ করে।    আমার নানা ৮৫ বছর বয়সী একজন বিজ্ঞ ব্যক্তি,...

"দুষ্টের বিদায়ের দিনে"

ছবি
মাগরিবের আজান কর্ণকুহরে প্রবেশের সাথে-সাথে মাথিনের হৃদয়ের বাম নিলয় ও অলিন্দের মাধ্য দিয়ে শীতল রক্ত বয়ে গেলো। অদ্ভুৎ এক সতেজতা অনুভব হচ্ছে। কেন এই সতেজতা? কারণ জানার কৌতূহল জাগলো তার মনে, তবে সে তার এই কৌতূহলকে দূরে সড়িয়ে রাখলো। নামাজে যেতে হবে তো! খুশি মনে, প্রফুল্লতার সাথে তার প্রিয় আতরটা লাগালো। আহ কি মিষ্টি সুঘ্রাণ! প্রতিবারই সে আতরের সুবাসকে বাহবা দেয় তার মিষ্টতার জন্য, এবারও দিলো। সন্ধ্যার আবহাওয়াও তার অনুভূত "শীতলতা"-কে গ্রহণ করে নিলো। শীতল হাওয়া বইছে, আলতো করে তার চোখের পাপড়িকে নাড়িয়ে দিয়ে গেলো। চোখ দু'খানার পলক পড়লো কয়েকবার। তবে সে এতে কোনো অস্বস্তি বোধ করছেনা। বরং তার শীতলতার অনুভূতি আরও জোড়ালো হচ্ছে। সে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলো রাতে আধার ধীরে ধীরে গ্রাস করছে সূর্যের আলোকে। মেঘ অন্ধকারের সঙ্গে সন্ধি করছে, সূর্য গেছে পৃথিবীর অন্য প্রান্তের মানুষদের ঘুম থেকে জাগাতে। মাগরিবের নামাজেও সে শীতলতার ছোয়া পেলো। ফরজ শেষ হতেই তার মস্তিষ্কের নিউরনগুলো তাকে মসজিদ থেকে বের হওয়ার জন্য তাড়া দিচ্ছিলো। সে যেনো নিউরনগুলোকে শাসনের সুরে বলছে, "এত সাহস পেলি কোত্থেকে? হুহ!" ন...

"বিরতি"

ছবি
কলমে বিরতি দিচ্ছি। কলমের ধার বাড়াতে হলে লেখার চেয়ে বেশি পড়া দরকার। তাই পড়ায় বেশি মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করব। পড়া গুলো ইফেক্টিভ হয় সে চেষ্টাও থাকবে। জীবনের কিছু লক্ষ্য আল্লাহ তা'আলা যেন পূরণ করে দেন—দুয়া করবেন একটু? দুয়া করবেন প্লিজ! এতে তো আপনার কোনো ক্ষতি নেই, বরং লাভই হবে। আমার জন্য করা দুয়াটা আপনার জন্য আগে কবুল হবে, তারপর আমার জন্য। তাই এই লেখাটা পড়ার সময়ও একটু দুয়া করে ফেলুন। আজ তবে যাই। হয়তো আবার ফিরে আসব কোনো গল্প নিয়ে। আর না-হয় হারিয়ে যাব কোনো গল্প হয়ে….. ২৭ শাবান, ১৪৪৬ ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫