পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

"বিরতি"

ছবি
কলমে বিরতি দিচ্ছি। কলমের ধার বাড়াতে হলে লেখার চেয়ে বেশি পড়া দরকার। তাই পড়ায় বেশি মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করব। পড়া গুলো ইফেক্টিভ হয় সে চেষ্টাও থাকবে। জীবনের কিছু লক্ষ্য আল্লাহ তা'আলা যেন পূরণ করে দেন—দুয়া করবেন একটু? দুয়া করবেন প্লিজ! এতে তো আপনার কোনো ক্ষতি নেই, বরং লাভই হবে। আমার জন্য করা দুয়াটা আপনার জন্য আগে কবুল হবে, তারপর আমার জন্য। তাই এই লেখাটা পড়ার সময়ও একটু দুয়া করে ফেলুন। আজ তবে যাই। হয়তো আবার ফিরে আসব কোনো গল্প নিয়ে। আর না-হয় হারিয়ে যাব কোনো গল্প হয়ে….. ২৭ শাবান, ১৪৪৬ ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

"স্বচ্ছ কাচের ঘর: গুনাহের সময় আমরা কি ভুলে যাই?"

ছবি
'গ্রীনহাউজ'— নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই। আমি যখন ৫ম শ্রেনিতে পড়ি তখন, প্রথম পরিচয় হয়েছিলাম নতুন এক ঘরের সাথে। যে ঘরের নাম 'গ্রীনহাউজ'। শীতপ্রধান দেশে বিশেষ ধরনের কাচের তৈরি ঘরে কৃত্রিম পরিবেশে শাক-সবজি ও বিভিন্ন ফল-মূলের চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। আর এই কাচের তৈরি ঘরগুলোই 'গ্রীনহাউজ' নামে পরিচিত। সহজ ভাবে বলতে গেলে– গ্রীনহাউজ হলো 'একটি কাচের তৈরি ঘর'। আর এ স্বচ্ছ কাঁচের তৈরি ঘরের ভেতরে কি হচ্ছে, কোন গাছটির পানি প্রয়োজন, কোন গাছের সার বা কীটনাশক প্রয়োজন, কোন গাছটি কি অবস্থায় আছে সবই আমরা ঘরের বাইরে বসে দেখতে পারি। মোটকথা, ঘরের বাইরে বসে সবকিছু তত্ত্বাবধানে এই কাঁচের ঘর কোনো প্রকারের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে না। মনে করুন, আপনার বাড়ির উঠোনে একটি 'গ্রীনহাউজ' আছে। দুপুরে আপনি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় আপনার বাড়িতে একজন চোর আসলো। সে আপনার ফোন, মানিব্যাগ, ল্যাপটপ ইত্যাদি মূল্যবান জিনিস নিয়ে পালানোর সময় আপনার ঘুম ভাঙে গেল। চোরটি দৌড়ে পালিয়ে সেই কাঁচের তৈরি গ্রীন হাউজ এর ভেতর লুকালো। আপনিও তাকে খুঁজতে বের হয়ে গেলেন। আচ্ছা বলুনতো, চোরটিকে...

কবিতাঃ "ওগো প্রিয়া"

ছবি
  ওগো প্রিয়া,  আমার মনে, আনমনে,                                 তুমি থাকবে কি? আমার হিয়া                           জুড়ে; এক কোণে একাকি  তুমি রইবে কি? আমি সায়রের তীরে দাঁড়িয়ে,               হাতটা পিছনে বেঁধে           তাকিয়ে থাকি ডুবন্ত রবির দিকে;                     এই তুমি আসবে বলে, এই এই! আসো নি তুমি,  ভালোবাসা কি আজ হয়েছে ফিকে?  আমি অমানিশায় চাঁদকে ডাকি– উঁকি দাও তুমি গগন চিরে, আধারের কাছে জানতে চাই–                                  প্রিয়া কি ফিরবে আমার নীড়ে?  আধার আমায় বলে–                        তুই কি আমায় দেখিস নি? আমি ক...
ছবি
  "কলম না থাকলেও                             নখখানি দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়েও      লেখব তোমার নাম — ইয়া ওয়াদুদ, ইয়া রহমান"

"তাওহীদ– আমার বেঁচে থাকার কারণ"

ছবি
তাওহীদ অর্থ একত্ববাদ। আরও স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে– "সকল নকল খোদা (তথাকথিত সুপার পাওয়ার) কে পায়ের নিচে রেখে, অবনত মস্তকে আল্লাহর এক ও অদ্বিতীয় সত্তার ঘোষণা দেওয়াই তাওহীদ।" • এই তাওহীদই মুসলিমদের বেচে থাকার রসদ। তাওহীদ ছাড়া কোনো মুসলিমের পরিবার, ব্যবসা, সমাজ ও রাষ্ট্র টিকে থাকতে পারে না।  আমি আমার পরিবারের জন্য কামাই করব কেন? – কারণ এটা তাওহীদের শিক্ষা। আল্লাহ আমায় তার আদেশ দিয়েছেন তাই।  আমি ব্যবসায় ইনসাফ বজায় রাখব কেন? ভেজাল থেকে মুক্ত থাকার আকাঙ্ক্ষা রাখব কেন? – কারণ এটা তাওহীদের শিক্ষা। আল্লাহ আমায় তার আদেশ দিয়েছেন তাই।  আমি আমার রাষ্ট্রের ভূখণ্ড রক্ষা করব কেন? – কারণ এটা তাওহীদের শিক্ষা। আল্লাহ আমায় তার আদেশ দিয়েছেন তাই।  • তাওহীদ ছাড়া এই ভূখণ্ডের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাওহীদ না থাকলে ৪৭ এ ভারতের পেটের ভিতরে থেকেও পূর্ব পাকিস্তান হতো না। আর তা না হলে বাংলাদেশও হতো না।  তাওহীদ না থাকলে ২৪ এ এসে ভারতের অঘোষিত  অঙ্গরাজ্য বাংলাদেশকে আবার স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে আবিষ্কার করা যেত না।  সেনাবাহিনী প্রতিটা অপারেশনের আগে সম্মিলিতভাবে একটা দু'আ করে নেন। ...

"চোখের নেয়ামত: নজরের হেফাজতে আল্লাহর আদেশ ও উপলব্ধি"

ছবি
যোহরের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। দুপুরের এই তপ্ত রোদে রাস্তায় তেমন মানুষ ছিলোনা, বলা চলে পুরো ফাঁকাই ছিলো। হঠাৎ, মাথায় উদ্ভট এক চিন্তা এলো। “আচ্ছা দেখিতো, চোখ বন্ধ করে আমি কতদূর হাঁটতে পারি!”  চোখ দু'টো বন্ধ করলাম, এক পা দু পা করে ধীরগতিতে এগোতে লাগলাম। যে রাস্তা দিয়ে আমি বাড়ি ফিরছিলাম, রোজ-ই এ রাস্তায় আমার যাতায়াত হয়। বলা যেতে পারে, এ রাস্তার নাড়ি নক্ষত্র আমার খুব ভালো করেই চেনা। কিন্তু কৃত্তিম অন্ধত্বের ফলে আমার কাছে এ চেনা রাস্তাও যেনো অচেনা হয়ে উঠলো। মনে হচ্ছিল যেন কোনো অচেনা পথ পাড়ি দিচ্ছি আমি।  “এমন নিকষকালো পথের সাথে কি কোনদিন আমার পরিচয় হয়েছিল? এ পথে কি কোনদিন যাতায়াত করেছিলাম আমি?”  —“না, এ পথ তো আমার পরিচিত নয়! এপথে তো আমি আগে কোনদিন হাঁটিনি!” চারদিক অন্ধকার, এই বুঝি পড়ে যাচ্ছি কোন অতল গহ্বরে, মনে হচ্ছে আমি হারিয়ে যাচ্ছি কোন ঘুটঘুটে অন্ধকার পথে! এই বুঝি কিছু একটার সাথে ধাক্কা খাচ্ছি।  সে এক করুণ অবস্থা! হঠাৎ লোকজনের গলার স্বর অনুভব করলাম। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে চোখ খুলে ফেললাম। যদি তারা আবার আমায় পাগল বা অন্ধ ভাবে!  বেশিক্ষণ না, এই কৃত্রিম...

"বাংলাদেশ, ডিপ স্টেট ও ইসলামপন্থীদের ভবিষ্যৎ করণীয়"

ছবি
ডিপ স্টেটের চক্রান্ত ও  মুসলিম  আইডেন্টিটির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ডিপ স্টেটের খেলার বলি হচ্ছে বাংলাদেশিরা। ভারত চাচ্ছে দ্রুত নির্বাচন হোক, বিএনপি এর মাঠপর্যায়ের কাজ আঞ্জাম দিচ্ছে। আর আব্বো আমেরিকা চাচ্ছে সংস্কারের নামে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা,  ধর্মীয় ইনক্লুসিভিটির দোহাই দিয়ে মুসলিমদের মনে খিলাফতের যে স্বপ্ন আছে, তা যেন ধীরে ধীরে নিউট্রাল হয়ে যায়।  ৫ই আগষ্টের পড়ে ইসলামপন্থীরা যেভাবে গলা খুলে কথা বলেছে এবং সামাজিকভাবে যে স্বীকৃতি পেয়েছে, তা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে বাম-সেক্যুদের বয়ানের স্রোতে। আবারও ইসলামপন্থীদের ভিলেন বানানো হবে, কিন্তু এবার সময় নিয়ে খেলবে। ইসলামপন্থীদের মূল চ্যালেঞ্জ ও শত্রুদের কৌশল ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম বাঙালিরা এক অপরাজেয় শক্তি। এদের ইতিহাসের মহানায়ক হাজী শরিয়তউল্লাহ, দুদু মিয়া, তিতুমীর। বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি মুসলিম আত্মপরিচয়ের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যদি এ দেশের মানুষকে  মুসলিম হিসেবে আইডেন্টিটি ক্রাইসিস এ ফেলে দেওয়া যায় বা তাদের মূল ভুলিয়ে দেওয়া যায়, তখনই বিদেশি শক্তিরা বিজয়ী হবে। তথাকথিত সুশীল ইন্টেলেকচুয়ালরা এখনও বুঝতে পারছে না যে বাংলা...

সিন: আওয়ামী জাহেলিয়াতের পরবর্তী বাংলাদেশ

দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক এ কি পতিত খুনির দল আওয়ামী লীগের কর্মীরা চায়? তারা কি দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কোনো প্রকার সাহায্য করছে? এত বড় বড় গণহত্যার দায় নিয়ে ক্ষমা চেয়ে চুপ থাকছে? নাকি এখনও তারা খুনি হাসিনা দেশে এসে ক্ষমতা উদ্ধার করবে এ আশায় বসে আছে?  এখনও পতিত মুজিববাদি ধর্মের অনুসারীরা দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে আদা জল খেয়ে মাঠে আছে। এখনও তারা এক ফোটাও লজ্জিত না। এখনও তারা অনুতপ্ত না। তাদের দূরসম্পর্কের আত্মীয়দের খুন যে তাদের ধর্মের ব্যনারেই হইছে এ তারা এখনও মেনে নিচ্ছে না।  আবার আছে বৃহৎ আরেকটি রাজনৈতিক দলের কন্ট্রোল হারানো কর্মীদের বিশৃঙ্খলা। প্রশাসনে লুকিয়ে থাকা মুজিববাদি ধর্মের অনুসারীদের গেঞ্জাম। সব মিলিয়ে আছে আমার দেশ। তবে একথা বলতেই হয়, আগের চেয়ে ভালো ও স্বাধীন আছে দেশের মানুষ। আগে তো চোখ বন্ধ কইরা থাকা লাগছে তাই মানুষের চোখে পড়ে নাই। এখন মানুষ চোখ খুইলা দেখা শিখছে, মুখ খুইলা বলা শিখছে, হাত তুইলা প্রতিবাদ করা শিখছে। দেশ একদিন হাসবে। এই আশায় আছি অবশ্যই। তবে এই হাসির মাধ্যম যে একমাত্র "ইসলামি শারিয়াহ" এই জিনিসটা জনগণ যত দ্রুত বুঝবে, ততই মানবজাতির মঙ্গল।...

কবিতাঃ "আবার আসছে শাহবাগ"

 আবার আসিবে শাহবাগ, সেই ৭১ এর কিছু অজানা ইতিহাস নিয়ে। গত ১৫ টি ডিসেম্বর, কিংবা তারও বেশি বছর অতীত থেকে যে ইতিহাস আমরা শুনেছি– আমাদের শুনিয়েছ তুমি যে রক্ত হিম করা ইতিহাস? তা আবার ফিরে আসবে। আবার আসছে শাহবাগ, আমাদের ইসলামের যে জলন্ত প্রদীপ! তাতে গাঁজার দুর্গন্ধযুক্ত ফু দিয়ে নিভাতে আসছে সে। আসছে সে মুছে দিতে মুসলিম ইতিহাস, মুসলিমদের মূলকে।  আবার এসেছে শাহবাগ, সুশীল সমাজের ৭১ বন্দনা আর যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নাম করে– যে হত্যাকাণ্ডের এক ইতিহাস রেখে গেলে তুমি আপা?  তা আবার ফিরে আসছে।  আমি আমার সন্তানের কোলে মাথা রেখে কিভাবে বলব– যে আমি ঠেকাতে পারিনি সে খুনিদের মুখের বোল? যে আমি পরিচ্ছন্ন করতে পারিনি সে ইতিহাস? আমি কায়েম করতে পারিনি সে মদিনার ইনসাফ? হায় হায়, এখনও সময় আছে– লজ্জা থাকলে রুখে দাঁড়াও। সেই নতুন শাহবাগের বিরুদ্ধে তুমি রুখে দাঁড়াও। তবেই তোমার বংশ বাঁচবে, বাঁচবে তোমার দেশ, বাঁচবে তোমার দীন– মুক্ত হবে তোমার ঘরের ফিলিস্তিন। ২৮ রজব, ১৪৪৬ হিজরী।

কবিতাঃ পাহাড়ি প্রেয়সী

ছবি
  সখের বসে প্রেমে স্নান অভ্যেস হলে তবে— প্রেম তোমার জন্যে ম্লান  থাকুক অনুভবে।  ঘুম কেড়ে নিল মোর, নীল রঙা অশ্রু, আমি কি তবে বুঝে উঠিনি?  সবুজ কুন্তলে হয়েছি উন্মাদ, ব্যাকুল —  সেখানে সুগন্ধ, ঠিক বুঝিনি! তোমার কোলে মাথা রেখে, মানব চোখে কাশ্মীর দেখব যে? বুঝিনি আমি তুমিই সে অরণ্য, মায়াবতী— বলো, কে-ই বা বুঝে? তোমার ভেতর তো হারিয়ে গেলাম আমায় কি একটু খানি খুজেছ?  আমি কিন্তু তোমার ঝর্ণা দেখেছি— আমায় কি দেখেছ, বলো দেখেছ? ভাবছি, তোমার ঝর্ণা নিয়ে, একটা উপন্যাস লেখব— তোমার ভেতর তা হন্যে হয়ে খুঁজব।  অনুমতি দেবে তো বলো? কপোল জুড়ে ঝিরিপথ— বলছি, এতো অশ্রুর কারণ কে? যদি আমি হই, কাদাব আরও, এ আমার আমৃত্যু শপথ। আচ্ছা, কাঁদলে মানুষকে থামায় কেন? জানো? দেখতে কি মায়াবী লাগে— তোমার ক্ষেত্রে তো আমিও কাঁদি, এ থাকুক সর্বদা, আমার ভাগে! তোমার পাহাড়ের জুমঘড়ে আমি আজীবন থাকতে চাই, আমি, তুমি, আর পাহাড়, ভবঘুরে একখান জীবন যদি পাই!  হে পাহাড়ি প্রেয়সী– তুমি কার সৃষ্টি বলো! সে কয়– তুমি কি শোনা না? আমি করছি তাঁর জিকির?  তাইতো আমি বলি! এ সুনিপুণ পাহাড়, সবুজ  আর নীলের মিশ্রণ– এ...

কবিতাঃ রাসুলের সান্নিধ্যে

ছবি
হাবীবে খোদা ইয়া রাসুলুল্লাহ — আপনার সোহবত, এ কি আমার ভাগ্যে নেই বলুন? আপনার রহমত, ইয়া রব্ব, আমায় দান করুন। হাবীবে খোদা ইয়া রাসুলুল্লাহ— জান্নাতে আপনার মহলের পাশে, একটি ছোট্ট কুঁড়েঘরের আর্জি করে যাই। আমি জান্নাত চাই, আমি আপনাকে চাই। হে আমার রব্ব, রাসুলের মহলের খাদেম হতে দিও আমায়, জান্নাতে আমি রাসুলকে নয়ন ভরে দেখতে চাই। আমি আমার মায়েদের স্নেহ পেতে চাই। আমি জান্নাত চাই, কেবল আপনাকেই চাই। আমি রাসুলের ইমামতিতে পড়তে চাই ফজর, মুক্তাদি হিসেবে চাই– ওমর, উসমান ও আবু বকর। আমি চাই, সালাত শেষে রাসুল ডেকে বলবে– তোমার জন্য হোক বরকতময় ফজর, বরকতময় ফজর। আমি চাই আমার মা, খাদিজা আমায় ডাকবে 'হে আমার পুত্র'— আমি খিলখিল করে মায়ের ডাকে সাড়া দিব। আমি সালাম দিব আমার মাকে। মা আয়েশার দারসে বসতে চাই আমি, অমনোযোগী হলে– তাঁর বেতের বাড়ি খেতে চাই। কষ্ট হবে না সে প্রহারে, শুধু আহ্লাদ, শুধু আহ্লাদ আর আহ্লাদ। আমি মস্তিষ্কে শুধু একটি সুভাষ চাই, রাসুলের ঘাম মোবারক যার উপাদান। সারা জান্নাত সুভাষিত হবে, কস্তুরিতে– যাতে আছে রাসুলের প্রিয় ঘ্রাণ। পথে পথে ভুল করব আমি, মুচকি হেসে শুধরাবেন তিনি। আমি করব সেই একই ভুল বারেবার...

গণঅভ্যুত্থান ২০২৪ এর মূল মাস্টারমাইন্ড হলো- "ইসলামি মূল্যবোধ"।

ছবি
 "দেশ স্বাধীন করলাম আমরা  দেশ চালায় এখন বামরা।"  আসিফ মাফিতাব স্যার এর এ দুটি লাইন দিয়েই শুরু করলাম।  এ গণঅভ্যুত্থান একদিনে সংগঠিত হয়নি। গত পনেরো/ষোলো বছরের অতুলনীয় বর্বরতার ফসল এই অনন্দের আগষ্ট। খুনি হাসিনার নির্যাতনের শিকার হয়েছে এ দেশের প্রতিটা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তবে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে কারা, জানেন? -- হুজুররা, আলেমরা, ইসলামপন্থীরা।  এই ফ্যাসিবাদের দ্বারা আক্রান্তদের তালিকায় ইসলামপন্থীদের সংখ্যা হবে সর্বাধিক। আপনারা এই ফ্যাসিস্টকে চিনেছেন এতদিন পর, আর হেফাজত চিনেছিলো ১৩ সালে। সঠিক সময়ে আমাদের বোধ হলে হয়ত আগষ্টের যায়গায় মে-তেই আমরা খুনির হাত থেকে রেহাই পেতাম। তখন ছিলেন আপনারা নিশ্চুপ।  এরপরও ইসলামপন্থীরা কিন্তু দমে যায়নি। প্রতিটা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে সর্বদা সোচ্চার থেকেছেন। প্রতিটা অন্যায় জুলুমের বিরুদ্ধে জুম্মা'র মিম্বর থেকে বয়ান হয়েছে। আমাদের ইসলামি মূল্যবোধ কে উজ্জিবিত রেখেছেন আলেমরা। যে ইসলামি মূল্যবোধ আমাদের শেখায় অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে। রাসুলুল্লাহ সাঃ এর হাদিস আমাদের শেখায়—  "তোমাদের কেউ যদি অন্যায় কাজ দেখ...

ইসলামী আইন ও শাসনব্যবস্থা: সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা

• এই সেক্যুলার রাষ্ট্রব্যবস্থায় আইনশৃংখলা বাহিনীর হেফাজতে গিনিপিগদের মৃত্যু হয়, গুলি করে মারে তাদের। আবার গিনিপিগদের টাকা পয়সাতেই এ বাহিনীর ঘর-সংসারে চুলা জ্বলে। এইসব ঘটনা ঘটার পর সুশীল সমাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে তুমুল সমালোচনা করে। কিন্তু এই বাহিনীকে দানবে পরিণত করে যে আইন ব্যবস্থা, রাষ্ট্রযন্ত্র ও শাসনব্যবস্থা, তার সমালোচনা করতে তারা সাহস পায় না। তখন তাদের মস্তিষ্ক আর ঠোঁট 'ঘুমেশে পড়ে'। • এই সকল সমস্যার সমাধান একমাত্র– 'ইসলামি শারিয়াহ'।  • ইসলামি শরিয়াহ'র মূল ভিত্তি হলো ইনসাফ। কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে পরিচালিত বিচারব্যবস্থায় পক্ষপাতমূলক রায়, রাজনৈতিক প্রভাব কিংবা ক্ষমতাশালীদের জন্য আলাদা কলমে রায় লেখার সুযোগ থাকে না।  • ইসলামি শাসনব্যবস্থা শাসকদেরও সর্বোচ্চ নৈতিক মানদণ্ডে পরিচালিত হতে বাধ্য করে। এখানে শাসক হলো জনগণের খাদেম এবং তারা আল্লাহর সামনে জবাবদিহিতার জন্য বাধ্য। [উমর রাঃ- এর জুব্বার কাপড় নিয়ে কাহিনী সবারই জানা।] • শারিয়াহ আইনের শাস্তি কঠোর ও প্রকাশ্য। যা আমাদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে এবং পরবর্তীতে কোনো দর্শক (যে সরাসরি শাস্তি প্রয়োগ দেখবে) এই পাপ করতে ১০০...

"রাতের আকাশ ও রবের মহিমা: এক গভীর উপলব্ধি"

ছবি
তখন প্রায় ১১টা বাজে, রাত ১১টা। ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল। মহল্লার প্রায় প্রতিটি ঘরই অন্ধকার হয়ে গেল, দু-একটি বাদে (আইপিএস, জেনারেটর অথবা সোলার সিস্টেমের কারণে)। বহুদিন হলো এমন অন্ধকার দেখিনি। মাঝে মাঝে তো বিদ্যুৎ চলে গেলে টেরও পাই না, আইপিএস থাকার কারণে (আল্লাহ তায়ালা রিয়া থেকে হিফাজত করুন)। যেহেতু ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তাই ঘরের সবকটা বাতিই বন্ধ ছিল। কেন যেন বারান্দায় যেতে ইচ্ছে করছিল! তো একটু বারান্দায় গিয়ে বসলাম। আহ! রাতের অন্ধকার কত সুন্দর, নির্মল ও মলিন। আকাশের পানে কিছু সময় তাকিয়ে থাকলাম অপলক দৃষ্টিতে। কী দেখলাম জানেন? রাতের দ্বিপ্রহর হলেও আকাশটা তেমন অন্ধকার বা কালো নয়, কিছুটা নীলচে আভা আছে। আর নীলচে আভার মাঝে সাদা পেঁজা তুলোর মতো মেঘগুলো মনের সুখে আনন্দচিত্তে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বাতাসের সাথে গাঁ ভাসিয়ে দিচ্ছে। আর এই মেঘের ফাঁকে ফাঁকে মুক্তার ন্যায় ঝিকিমিকি করছে বেশ কয়েকটি 'তারা'। শীতল-স্নিগ্ধ বাতাস আঘাত হানছে আমার শরীরে। এ আঘাতে না আছে কোনো ব্যথা, না আছে কোনো দুঃখ। এ যেন এক স্বর্গীয় সুখ। বহুদিন হলো এমন সুখের দেখা পাইনি,...